র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারির সংলাপে তিনি এ আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নবম বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারির সংলাপ ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে পারস্পরিক স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংলাপে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সংলাপে পররাষ্ট্রসচিব মোমেন বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারির ৫০ বছর উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর এবং পরে ওয়াশিংটন ডিসি সফর সম্পর্কে মার্কিন পক্ষকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকের রূপরেখাও শেয়ার করেছেন। আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড নিজ নিজ ইন্দো-প্যাসিফিক নথিতে দুই দেশের মধ্যে অভিন্নতার ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্রসচিব মোমেন মার্কিন পক্ষকে স্থানীয় ও জাতীয় উভয় পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রসচিব র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড বাংলাদেশ সরকারের এ বছরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা করার ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ক্রমবর্ধমান ও প্রাণবন্ত ব্যাবসায়িক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশে মার্কিন প্রযুক্তি কম্পানির ব্যাবসায়িক কার্যক্রম বাড়াতে সাইবার নিরাপত্তা ও ডাটা সুরক্ষায় আরো কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস ও ইউএসএআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।