কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কিত যৌথ বিবৃতিতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ও জাপান। ৩০ দফা যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশ ও জাপানের আগামী দিনগুলোর সম্পর্কের রূপরেখা প্রতিফলিত হয়েছে। এ অঞ্চল ও এর বাইরে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে দুই দেশই আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও শৃঙ্খলা মেনে চলে অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি অঙ্গীকার তুলে ধরেছে। গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন।
যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের সামুদ্রিক আত্মরক্ষা বাহিনীর জাহাজগুলোর চট্টগ্রাম বন্দরে যাত্রাবিরতি ও ‘পোর্ট অব কল’কে স্বাগত জানিয়েছেন। দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়কেও তাঁরা স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ ও জাপানের প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ও বিনিময় বিষয়ক স্মারকের আলোকে উভয় প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা সহযোগিতা উৎসাহিত করার কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের নৌযান ও আকাশযান, ইউনিটের সফরবিনিময়, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও শুভেচ্ছা সফরের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিরক্ষা শাখা ও ঢাকায় জাপান দূতাবাসে জাতীয় নিরাপত্তা শাখা খোলার কথা বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এ ছাড়া নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাব্য উপায়গুলো চিহ্নিত করতে দুই দেশের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোর সম্ভাবনাকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা তাঁর দেশের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল, জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল ও প্রতিরক্ষা গঠন কর্মসূচি সামনে রেখে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের প্রচেষ্টা ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’-এর আলোকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিকায়নের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ সম্পর্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে তাঁরা পরস্পরের প্রচেষ্টাকে স্বীকার করেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে জাপান তার সশস্ত্র বাহিনী ও সমমনা দেশগুলোর এ সম্পর্কিত সংস্থাগুলোকে সহযোগিতায় নতুন কাঠামো ‘সরকারি নিরাপত্তা সহযোগিতা’ প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টি আমলে নিয়েছেন এবং ওই কাঠামোর আওতায় আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”