তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ, তাই তাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়ে আশা প্রকাশের কোনো কারণ নেই।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ বইয়ের পুনর্মুদ্রিত সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘তা নাহলে তিনি বলতে পারতেন না যে, পাকিস্তানই ভালো ছিল। পাকিস্তান ভালো ছিল এটা বলার মধ্য দিয়ে এটাই তো প্রকাশ পায় যে তারা রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। কাজেই রাষ্ট্রপতি নিয়ে কোনো আশা প্রকাশ করার কারণ নেই। তারা রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ তারা রাষ্ট্রপতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি মনে করি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন বিচক্ষণ, প্রাজ্ঞ ও বুদ্ধিমান মানুষ। সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতি হিসেবে, তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে অতীতের মতোই সুচতুর ও সুচিন্তিতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আমি দৃঢ়ভাবে সেটি বিশ্বাস করি।’
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএজিএস যে ঘোষণা দিয়েছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে সেটির স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। রুয়ান্ডাসহ বিভিন্ন দেশে গণহত্যা হিসেবে যেসব স্বীকৃতি পেয়েছে, সেখানে এত মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আমাদের সরকার এ নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে এই ঘোষণা অত্যন্ত সহায়ক হবে।’
মোড়ক উন্মোচন করা বই নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে। পাকিস্তানীরা কী মনে করত বা মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে দেখতো- সেটির ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট এ স্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।’
সম্প্রতি ইউরোপ সফরে কয়েকটি চুক্তি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে তারা ১৫৬টি ডকুমেন্ট হস্তান্তর করবে। সেগুলো আমরা কিনে নিচ্ছি। সংগ্রহের পর এগুলো যখন কম্পাইল করা হবে, তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কারও কোনো সুযোগ আর থাকবে না। আমরা সেই কারণেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন