মোটরসাইকেল চলাচল এবং এর চাপ সামলানোর জন্য প্রস্তুত পদ্মা সেতু। প্রস্তুত করা হয়েছে সেতুর টোল প্লাজা। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি ও প্রতি মিনিটে চারটি মোটরসাইকেল টোল দিতে পারবে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য বাম দিকে একটি ডেডিকেটেড লেন তৈরি করাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান সেতুসচিব মো. মনজুর হোসেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর মাত্র এক দিন চলেছিল মোটরসাইকেল। প্রথম দিনেই ঘটে দুর্ঘটনা। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে চলতে পারেনি মোটরসাইকেল। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে উঠতে পারবে মোটরসাইকেল।
তবে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। সার্ভিস লেনের বাইরে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। নির্ধারিত টোল দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত টোলবুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে। ওভারটেকও করা যাবে না। চালক ও আরোহীকে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সেতুর ওপর দাঁড়ানো বা ছবি তোলা যাবে না। চালকসহ সর্বোচ্চ দুজন মোটরসাইকেলে চড়তে পারবেন।
এসব নিয়ম মেনে চললে ঈদের পরে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সচিব। মো. মনজুর হোসেন বলেন, ‘ঈদ যাত্রার কথা চিন্তা করে মোটরসাইকেল পারাপারের পরীক্ষামূলক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাইকাররা নিয়ম-কানুন মেনে চললে এ বিষয়ে ঈদের পর বিবেচনা করা হবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের, নির্বাহী প্রকৌশলী রজ্জব আলী প্রমুখ।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতু ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ ট্রিপ হবে শুধু মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে যাত্রা যেমন ভোগান্তিহীন হয় তেমনি ঝুঁকিও রয়েছে। তাই সবাই যেন নিয়ম মেনে নিরাপদে মোটরসাইকেল চালান।