প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারি ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন।
গতকাল সকালে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় বঙ্গবাজার। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের এনক্সকো ভবনেও। শুরু থেকে ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের সবকটি ইউনিট আগুন নেভাতে প্রাণন্তকর চেষ্টা চালায়। বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার ব্রিগেডে হামলাকারীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলব যে দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কথা নেই বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাটিসোঁটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় কত মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে, তাদের সত্যিই যে কষ্টটা, তাদের কান্না, এটা সহ্য করা যায় না। এরই মধ্যে আমি বলে দিয়েছি তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করবো এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখবো।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন