রমজান মাস বরকত ও কল্যাণের মাস। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ লাভের মাস। এই মাসে আল-কোরআন নাজিল হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে তখন দুষ্ট জিন ও শয়তানদের বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে—হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৬৮২)
দুই. জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া মানে পাপ ও অকল্যাণের দরজা বন্ধ করে দেওয়া। আর জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া মানে ভালো ও কল্যাণের দরজা খুলে দেওয়া।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন