Thursday , 21 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সুরমার শাখা রক্তি নদী সংকুচিত, ব্যবসায়িক নৌযান চলাচল প্রায় বন্ধ
--প্রেরিত ছবি

সুরমার শাখা রক্তি নদী সংকুচিত, ব্যবসায়িক নৌযান চলাচল প্রায় বন্ধ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ   জেলার ২৬টি ছোট-বড় নদী দিয়ে জেলা শহর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়  পণ্য ও যাত্রী পরিবহন হলেও এখন সেই চিত্র পাল্টে গেছে।
সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর প্রধান  শাখা নদীগুলো হচ্ছে  ধনু, বৌলাই,  পাতলাই এবং  জাদুকাটা/ রক্তি।
ভারতের মেঘালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে যাদুকাটা নদীটি তাহিরপুর উপজেলার উত্তর পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেতরে উপজেলার ফাজিলপুর নামক স্থানে নাম নিয়েছে রক্তি। এখানেই নদীটি বৌলাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এই নদীর তীরে অবস্থিত আনোয়ারপুর ও দুর্লভপুর ফতেহপুর  নদীবন্দর।
 ভারত থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া, টেকেরঘাট, চারাগাও এবং বাগলী শুল্ক  স্থলপথে কয়লা ও চুনা-পাথর আমদানি করার পর কম খরচে দেশের বিভিন্ন জেলায়  পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে সুরমা নদীর শাখা  রক্তি এবং পাতলাই নদীপথ ব্যবহার করা হয়।  এসব নদীর কোনো কোনো স্থানে স্বাভাবিক নৌযান চলারও উপায় নেই।
উল্লেখযোগ্য বানিজ্যিক নদীপথের মধ্যে অন্যতম জাদুকাটা/ রক্তি, এবং  পাতলাই নদী।
ভারতের খাসিয়া পাহাড় থেকে প্রবাহিত  জাদুকাটা নদী লাউড়েরগড় পয়েন্ট থেকে রক্তি নদীর ফতেহপুর পয়েন্টের বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার সোহাগ এন্টারপ্রাইজ সুনামগঞ্জ  ২০২২ সালের জুলাই ১ তারিখ হতে ২৩ জুলাই ৩১ তারিখ পর্যন্ত বিআইডব্লিউটির কাছ থেকে ৩ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকায়  মুশক ও টোল আদায়ের ইজারা প্রাপ্ত হন। তবে টোল আদায়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক পল্টন/জেটি বা নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা স্থান নির্ধারণ করে না দেওয়ায় টোল আদায়ে বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে ইজারাদার। স্থানীয়ভাবে এলাকার জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি প্রায় সময় টোল আদায়ে বাধা প্রধান করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে ব্যপকহারে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলা প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার প্রধান নদীপথ সুরমাসহ শাখা নদীপথ বৌলাই, পাতলাই ও জাদুকাটা/রক্তি নদীপথ ।
 বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত রক্তি নদী । পলি জমে ভরাট হয়ে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে নেয়ামত পুর, ফতেহপুর গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত রক্তি নদীর কিছু অংশ ।নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
নাব্যতা সংকটে বিকল্প পথে নৌযান চলাচল করায় পণ্যপরিবহনে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।   আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে লাউড়েরগড় হয়ে ফতেহপুর হতে জামালগঞ্জ  নদীবন্দর  বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার।
বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার সোহাগ এন্টারপ্রাইজ  প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শাহ রুবেল জানান, ফতেহপুর হতে নেয়ামত পুর পর্যন্ত রক্তি নদীপথ সংকুচিত হওয়ার ফলে পণ্যবাহী নৌযানগুলো রক্তি নদীপথ ব্যবহার না করে বিকল্প নদীপথ হয়ে চলাচল করছে।  পন্যবাহী নৌযান চলাচল না করায় আমরা মুশক ও টোল আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।এতে আমার প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইজারাদার । রক্তি নদীর সংকুচিত অংশগুলো ড্রেজিং করা খুব প্রয়োজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, নদীগুলো খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply