সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বম্ভপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের কালিপুরে ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডীয় জমি থেকে অবৈধভাবে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় বিবাদী আতাউর কর্তৃক বাদীকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। ১৮ (জানুয়ারি) ডলুরা ( কালিপুর) গ্রামে সকাল ৭ টায় বাদীর নিজ জমিতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জমির মালিক আতাউর রহমান ৫ জনকে অভিযুক্ত করে বিশ্বম্ভপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, মো মহর আলী গং। অভিযোগ মাধ্যমে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে অভিযুক্ত গংরা জোর পূর্বক আমার পিতার খরিদা সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন করে হাওর রক্ষা বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাদেরকে নিষেধ করলে গালিগালাজ করে উল্টো আমাদেরকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন,
গত ২২/১/২০২৩ ইং তারিখে আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিশ্বম্ভপুর বরাবরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। যে কোন মুহুর্তে বিবাদী গংদের দ্বারা আমার বড় ধরনের ক্ষতি সহ আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি। ভূমি এবং বালু পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি করম আলী জানান, উক্ত তপশীলভুক্ত ভুমির মালিক ক্রয়সুত্রে আমি। আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। উক্ত তপশীল ভুমিতে আমি বা আমার কোন উত্তরাধিকারী কেহ পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত নয়।
আদাং এলাকার বাসিন্দা ফরিদ শেখ জানান, উল্লেখিত এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। উনারা পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত নন। আতাউর রহমান বাদী হয়ে যে অভিযোগ দাখিল করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আতাউর রহমান এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন সময় আমার ভাই মিজানুর রহমান কে কল দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
বাদী আতাউর রহমান জানান, অভিযোগে উল্লেখিত আাসামীগণ উগ্র এবং দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।