বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, জনপ্রতিনিধি সবাই মিলে একযোগে সবার সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আমরা সবাই মিলে এক প্ল্যাটফরমে থেকে কাজ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ উপজেলা সুনামগঞ্জের শাল্লার শাল্লা থানা ভবনে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আইজিপি আরো বলেন, এই দেশে একসময় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে আমরা দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করেছি। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিরও উন্নয়ন হচ্ছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী, শাল্লা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব প্রমুখ।
শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টায় তিনি হেলিকপ্টারে শাল্লা উপজেলা সদরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় শাল্লা থানায় এসে তিনি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধন করেন। পরে আইজিপিসহ স্থানীয় সুধীজনরা মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি শাল্লায় বেড়ে ওঠাসহ তার বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণা করেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয় আমরা সেটা জানি। আমাদের প্রতিটি সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ওয়াকিবহাল ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তা ছাড়া আমাদের ক্যাপাসিটিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। তাই আসছে নির্বাচন নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, আগামী দিনে দেশে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, একসময় মামলা ডিটেক্ট করতে অনেক সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন ৯৫ ভাগ মামলা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ডিটেক্ট করা যাচ্ছে। এতে কাজ বেগবান হয়েছে। এখন বেশির ভাগ মামলাই আমরা সহজে ডিটেক্ট করি। তারপরও পুলিশের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
আইজিপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫০০ ডলার। কিন্তু এখন সেই ইনকাম প্রায় তিন হাজার ইউএস ডলার। এখন দেশের সর্বত্রই উন্নয়ন হচ্ছে। আমার দুর্গম উপজেলা শাল্লায়ও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দেশের মানুষের হজে যেতে যে সময় লাগত, আমাদেরকে শাল্লা থেকে ঢাকা যেতে সেই সময় ব্যয় করতে হতো। এখন সেই দৃশ্য নেই। এখন সারা দেশেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।