মিশিওনারী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র তৈরি হলে উচ্চশিক্ষায় নতুন মাত্রা পাবে জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেন্ট জেভিয়ার্স অত্যন্ত নামকরা প্রতিষ্ঠান। দেশে মিশিওনারী পরিচালিত এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করছে। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি পৃথিবী দেখার ভিন্ন এক চোখ তৈরি করে দেওয়া হয়। ভালো বিষয়গুলো অনুধাবনের মন তৈরি করে দেয়। আমরা যে সফট স্কিলের কথা বলি, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যারা পড়াশোনা করে বের হয়েছে, ধরেই নেয়া হয় তারা সেগুলো শিখেছেন। আশা করি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ যৌথভাবে আয়োজিত ‘সংযোগ ২০২৩’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাষার যে চেতনা সেটিকে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের কর্তব্য এজন্য সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা র্যালী করেছে, মশাল প্রজ্জ্বলন করেছে এটা খুবই ভালো কাজ। কারণ ভাষা পাওয়ার পেছনে কত ত্যাগ আছে তা নতুন প্রজন্মের জানা জরুরি। মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। এর ইতিহাস জানা দরকার। না জানলে মান রক্ষা করতে পারবো না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ এবং আদান-প্রদানের মধ্য দিয়েই নতুন করে আরও ভাববার এবং নিজেদের কাজগুলো আরও উন্নত করার সুযোগ তৈরি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে প্রাচ্যের শক্তি আরও বেশি সুদৃঢ় হবে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সঙ্গে যদি আমাদের সাহচার্য, বন্ধুত্ব, গবেষণা বিনিময় বৃদ্ধি করি তাহলে আমরা নতুন উচ্চতায় যাব।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফাদার অনীল গোমস, বাংলাদেশের সেন্ট জেভিয়ার্স প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফাদার মিল্টন কোস্টা, ফাদার প্রবাস রোজারিও, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী সংসদের সদস্য দীপন দাস, সম্বিত দত্ত, কল্যাণ মজুমদার, শুভেচ্ছা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদ স্মরণে আন্তর্জাতিক প্রতীকী মশালযাত্রা বের করা হয়।