২৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বদলে দিয়েছে সিল্কনগরী খ্যাত রাজশাহীর চেহারা। এ প্রকল্পগুলো রাজশাহীতে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রায় এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার, যার সুফল পেতে শুরু করেছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আগামীকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন। এর আগে তিনি ২৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রাজশাহীর উন্নয়নে আরো ছয়টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে এখনো অনেক কাজ শেষ হয়নি। এখনো অনেক কাজ শুরুও করা হয়নি। তাতেই বদলে গেছে রাজশাহী শহরের দৃশ্যপট। পুরো প্রকল্পের কাজগুলো শেষ হলে আরো বদলে যাবে রাজশাহী শহর। এই বদলে যাওয়া রাজশাহীর লাখ লাখ মানুষও নানা ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবে তখন।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, ‘এই হাসপাতাল উদ্বোধন করা হলে এ অঞ্চলের শিশুদের চিকিৎসায় যুগান্তকারী উন্নয়ন হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’
ছয় প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : রাজশাহীর উন্নয়নে আরো ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো রাজশাহী তথ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ, রাজশাহী আঞ্চলিক পিএসসি অফিস ভবন নির্মাণকাজ, ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, রাজশাহীর নির্মাণকাজ এবং রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ। এ প্রকল্পের ব্যয় ৬৫.৯৯৩ কোটি টাকা।
জনসভায় বিএনপির লোকও উপস্থিত হবে—নানক : গতকাল রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে যান আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লাখ লাখ মানুষ আসবে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির লোকও এই সভায় উপস্থিত হবে। কারণ যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের নাগরিক নয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে ভণ্ডল করার জন্য অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন