কারো ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেনি। কারণ তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। তারা যার সঙ্গে ইচ্ছা বৈঠক করুক। কিন্তু আমাদের এখানের গণতন্ত্র আমরাই চালাব।
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনব্যবস্থায় বিদেশিদের ভূমিকা সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আমেরিকা থেকে আসুক, ইউরোপ থেকে আসুক, যেখান থেকে ইচ্ছা পর্যবেক্ষক আসুক। এখানে কোনো বাধা নেই। এখানে কারো জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
বিএনপিতে গণতন্ত্রের চর্চা নেই দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপির সম্মেলন শেষ কবে হয়েছিল তা দলটির নেতাদের মনে নেই। এরা আবার আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে। এতে তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু আখ্যা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না কিন্তু আমরা বারেবারে হত্যার শিকার হই। এটা হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু ।