সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) পরিচালিত পরীক্ষায় ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বিল’ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার বিলের ওপর বিরোধী দলের আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন।
সরকারি কর্মকমিশন গঠনের ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয় বলে অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। সেখান থেকে জটিলতা শুরু হয়। নিয়োগে অনিয়ম হয়। নিয়োগকৃতরা সঠিক প্রশিক্ষণ পান না। তাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ফলে সংকট তৈরি হয়। তাই সংবিধান অনুযায়ী কমিশন গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার।
বিদ্যমান আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাজার বিধান ছিল না। নতুন আইনে সেটি যুক্ত করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশ নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন