অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি। এই সরকার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও নতুন বই ছাপানোর কথা ভোলেনি। ’ শিশুদের পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথাও বলেছেন তিনি। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার এখন অনেক কমে এসেছে। কারণ আমরা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া মা বাবা সচেতন হওয়ার কারণ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৯৮ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছর থেকে প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রম এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কোনো বই দেওয়া হবে না। তারা শুধু স্কুলে যাবে এবং হাতের বিভিন্ন কাজ শিখবে। অঙ্কন করবে। খেলাধুলা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীকে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ কোটি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল ১ জানুয়ারি নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম দিন থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী পর্যায়ক্রমে নতুন বই হাতে পাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় পাঠ্যবই উৎসব উদযাপন করবে।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজন করা হবে প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের কেন্দ্রীয় উৎসব।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন