অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সেবা প্রদানে ডিএনসিসি সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। আমরা ডিএনসিসি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তাদের সম্মানে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক হবে।
সিটি কর্পোরেশনের অফিসে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকবে এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। সেবা নিতে আসলে তারা সেই কক্ষে বসবে। এ ছাড়া ডিএনসিসির কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ দাফনে কোনো ফি লাগবে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। স্বাধীনতার জন্য, লাল-সবুজের পতাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী সবসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। তাদের জন্য কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে প্রতি বছর সংবর্ধনার আয়োজন করছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে পারলে, তাদের সম্মান দিলে তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি হবেন।
মেয়র আরো বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। আজ উপস্থিত আছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা, উপস্থিত আছেন মুক্তিযোদ্ধাদের পবিত্র রক্তের উত্তরাধিকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। আমাদের সবাই মিলে দেশটা গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন