অনলাইন ডেস্ক:
ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার কথা শুরু থেকেই জানতেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। রিমান্ডে এ কথা ডা. শফিকুর স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন সেটি জানতেন ডা. শফিকুর। এরপরও নীবর ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি। নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে তাকে আরো তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান আরো বলেন, কয়েকজন যুবককে নিয়ে ‘হিজরতের জন্য’ বান্দরবান পাহাড়ে যেতে ব্যর্থ হলে শফিকুর রহমান তার ছেলেসহ অন্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, ছেলে হিজরত করেছে, গ্রুপসহ বান্দরবানের পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা করেছেন। কিন্তু যেতে না পেরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সব ব্যবস্থা তিনি করেছেন। এটা সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা। পুরো বিষয়টি তিনি গোপন করেছিলেন।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালানো দুই জঙ্গি কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলার এখনো সময় আসেনি। দেশেই আছে, এখনো দেশ থেকে পালাতে পারেনি।
জামায়াত আমিরের ছেলে চিকিৎসক রাফাত চৌধুরীকে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন জানানো হয়, তিনি নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক। এই ঘটনায় করা মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর রিমান্ডে নেয়া হয় জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে। সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন