অনলাইন ডেস্ক: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুপরিকল্পিত ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছিল৷ শত বঞ্চনা সহ্য করে বাঙালি জাতির মুক্তি এনে দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ ২০০০ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা যারা ২৫ বছর শাসন শোষণ করেছে তারা আবার দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের খুবই নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসাবে গণ্য করতেন৷ সকল বিষয়ে আমাদের সাথে বৈষম্য ছিলো৷ এমনকি বাঙালিদের ঋণও দেওয়া হতো না৷ এগুলো প্রকট থেকে প্রকটতর হতে থাকে৷ যার চূড়ান্ত ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমাদের এই মহান বিজয়৷ দেশকে ভালোবাসতে হলে, মানুষকে ভালোবাসতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসতে হবে। মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালি এখন আর ফকির-মিসকিনের জাতি নয়। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে৷ আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।