অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সরকার নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এ দুই ঘটনা আমাদের জন্য অনেক বাধা তৈরি করেছে। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। তবে আমাদের আরো সতর্ক এবং সাশ্রয়ী হতে হবে।
শিক্ষা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে পিছিয়ে না যায় সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আজ সোমবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
নামি স্কুলেই পড়তে হবে, এই মানসিকতা বদলানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বহু জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, নেতা, পাকিস্তান আমলের বহু সিএসপি অফিসার জেলা স্কুল থেকে পাস করেই হয়েছে।
তিনি বলেন, সব থেকে ভালো ছেলে-মেয়েরা যেখানে ভর্তি হবে সেখান থেকে তো ভালো রেজাল্ট আসবেই। যদি কেউ গাধা পিটিয়ে মানুষ করতে পারে তাকে আমি ক্রেডিট দেই। যে কিছু জানে না তাকে শিক্ষাটা ভালো করে দিচ্ছে। যে কিছু জানে না তাকে ভালো শিক্ষা যে দিতে পারবে আমার মনে হয় তাদের একটু বিশেষভাবে সমর্থন দেওয়া, পুরস্কৃত করা উচিত।
এ সময় তিনি বলেন, কেন ছেলে-মেয়েরা ফেল করবে, ফেল করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। না পড়লে তো ফেল করবেই। কাজেই এটা মাথায় রেখে সবাইকে পড়তে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন