অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে কোনো দিন দেশের প্রথম মেট্রো রেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রো রেল লাইন-১-এর নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে উদ্বোধনের আমরা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছি সেখানে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি সে প্রস্তাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মত প্রদান করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর মেট্রো রেল উদ্বোধনের যে পরিকল্পনা ছিল, সেখান থেকে সরে আসা হয়েছে। কারণ ১৬ ডিসেম্বর অনেক প্রগ্রাম আছে। এই দিনটাকে অনেক বড় করে উদযাপন করা হচ্ছে। ফলে ১৬ ডিসেম্বরে হচ্ছে না। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করার জন্য সামারি আমরা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। তারিখ এখনো আমাকে জানানো হয়নি। তবে আমি মন্ত্রিপরিষদসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলছেন, তারিখ নির্ধারণের কাজ চলমান আছে। ’
পাতাল রেলের নির্মাণকাজ শুরুর বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘পাতাল রেলের নির্মাণকাজের চুক্তি আজ হয়েছে। এরপর আরো কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল রেলের নির্মাণকাজের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের উদ্বোধন করবেন। ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে পাতাল রেলের কাজ শেষ করা হবে। কিছু প্যাকেজের কাজ এখনো বাকি আছে। সেগুলো শেষ হলে আমরা বলতে পারব কবে থেকে টানেল বোরিং মেশিনের কাজটি শুরু হবে। আমরা আশা করছি এই অর্থবছরের মধ্যে কাজটি শুরু করতে পারব। ৩০ মিটার নিচ দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন যাবে। ফলে নিচে কাজ হলে, ওপরে বোঝা যাবে না নিচে কাজ হচ্ছে।
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেল লাইন-১-এর এক নম্বর প্যাকেজের কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের টোকিউ কনস্ট্রাকশন কম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করছে ডিএমটিসিএল।
মেট্রো রেল লাইন-১-এর প্রকল্পের নথিত তথ্য বলছে, পাতাল ও উড়াল মিলে মেট্রো রেল লাইন-১-এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১.২৪১ কিলোমিটার। রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১.৩৬ কিলোমিটার। পাতালপথে স্টেশন হবে ১২টি এবং উড়ালপথে থাকবে ৭টি। উভয় পথে মোট ১৯টি স্টেশন চূড়ান্ত হয়েছে।
পাতাল মেট্রো রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বাকিটা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন