স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
বীরশ্রেষ্ঠ সেপাই হামিদুর রহমানের ৫১তম শাহাদৎবার্ষিকী পালন করলো বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন শৈলকুপা উপজেলা শাখা ও বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ সংস্থা। মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শৈলকুপা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার আগে একটি র্যালি শৈলকুপা উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝিনাইদহ জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মেহের আলির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঝিনাইদহ ১ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম আবদুল হাকিম আহমেদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুন্নবি কালু, শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজি আশরাফুল আজম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শৈলকুপা উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার রহমত আলি মন্টু, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝিনাইদহ জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার কামালুজ্জামান কামাল বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝিনাইদহ জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা লোটন, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ সংস্থা ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি একেএম শহীদুজ্জামান এবং মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান টুলু বক্তব্য রাখেন। বক্তারা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোর্দখালিশপুর গ্রামের সেনাসদস্য বীরশ্রেষ্ঠ সেপাই হামিদুর রহমানের সম্মুখসমরে আত্মাহুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের সরকার ও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা আমাদের দেশের এক কোটি মানুষকে নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালিন খাবার ও আশ্রয় দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ দিয়ে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন বিধায় নয় মাসের মাথায় দেশটি হানাদারমুক্ত হয়ে লালসবুজের পতাকা পেয়েছে।
দেশি-বিদেশি কিছু রাষ্ট্র ও সংস্থার সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীন দেশটি মাত্র ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন উন্নতির চরম শিখরে তরতর করে উঠে যাচ্ছে, ঠিক তখনি এ দেশের কিছু ব্যক্তি বা মহল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিতে চক্রান্ত করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুুুুুুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও শোষনহীন ধর্মনিরেপক্ষ বাংলাদেশ গড়তে কথিত দেশদরদিদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সোচ্চার হতে সবাইকে আহবান জানান। আলোচনা সভাশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।