কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া বড় বাজারের সরকারি সম্পত্তি জাল দলিল করে দিখে নিয়ে অবৈধভাবে দখলকরে পুরাতন ভবনের মূল্যবান লোহার বীম বিক্রয় কারী আমলা পাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে ভূমিদস্যু আহাম্মদ আলী ওরফে জ্ঞান (৬৫) ও তার ছেলে রতন (৪০) র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে শহরের আমলাপাড়া এলাকায় আহাম্মদের নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
জানা যায়, কুষ্টিয়া বড় বাজারের রকসী গলি আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি সম্পত্তি জাল দলিল করে অবৈধভাবে দখল করে আহাম্মদ আলী তার স্ত্রীর নামে ক্রয় দেখিয়ে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে মূল্যবান লোহার বীম বিক্রয় ও ভবনের আকৃতি পরিবর্তন করেছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া সদর সহকারী কমিশনার ভূমি জেলা প্রশাসক বরাবর আহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী রেহেনা আহাম্মদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেন।এমন সংবাদ ও উপযুক্ত প্রমানের ভিত্তিতে গত ১০ অক্টোবর দুপুর দেড়টার সময় দৈনিক আজকের আলো পত্রিকার চীফ রিপোর্টার মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় ও তার ২ সহকর্মী সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন বাবলু ও দৈনিক সকালবেলা পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি আমিন হাসান সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আলিয়া মাদ্রাসার গেটের সামনে যাওয়া মাত্রই আহাম্মদ আলী ও তার দুই ছেলে রতন এবং মানিক সহ তাদের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্চিত করে। এ সময় ৩ জন সংবাদকর্মীদের একটি স্বর্নের চেইন,একটি স্বর্নের আংটি ও ছোট একটি ক্যামেরা কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩ জন সংবাদকর্মী সেখান থেকে রক্ষা পায়। পরে গত ২২ অক্টোবর সাংবাদিক আমিন হাসান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আহাম্মদ আলী ও তার দুই ছেলের নামে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোয়েন্দারি রেখে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। সাংবাদিক লাঞ্চিত’র ঘটনার সংবাদ শোনার সাথে সাথেই র্যাব আসামীদের উপর গোয়েন্দা নজর অব্যাহত রেখে আসছিলো। ঘটনার বিষয়ে মামলা হওয়ার সাথেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।