জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোর করে নিজের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের শঙ্কার কথা জানান তিনি।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল আলম এম.এসসি।
লিখিত বক্তব্যে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমার বিরোধী প্রার্থী জোর করে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অবৈধ তৎপরতা চালাচ্ছে। এটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। আল মামুন সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোর করে কেন্দ্র দখল এবং ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে তথা কথিত সাদা মনের মানুষ আল মামুন সরকার।
তিনি বলেন, ‘আল মামুন সরকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে প্রকাশ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে দলে বিভক্তি তৈরি করেছে। ২০১৭ সালে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে আমি জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হই। কিন্তু আমাকে বিদ্রোহী প্রার্থীর তকমা দিয়ে দলীয় পদ-পদবি থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত করেছে আল মামুন সরকার। এছাড়াও আল মামুন সরকার বিগত উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যের মহানায়ক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অটোরিকশা ও ইজিবাইকের অবৈধ লাইসেন্স প্রদানের মূল হোতা বলেও উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।
আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শফিকুল আলমের ছোট ভাই শাহ আলম ও তার কর্মী-সমর্থকরা।