তুমি রবে নিরবে…..
শোকাবহ অক্টোবর
২য় মৃত্যুবার্ষিকী
আজ ১৪ অক্টোবর ২০২২, জাতীয় দৈনিক সকালবেলা এবং ঞযব উধরষু গড়ৎহরহম ঞরসবং এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ এনামুল হকের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পালিত ‘শোকাবহ অক্টোবর’ মাসের ১৪তম দিন।
জনাব সৈয়দ এনামুল হকের জন্ম ১৬ই এপ্রিল ১৯৫৬ সালে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর গ্রামে। তার বাবা মরহুম ডাঃ সৈয়দ আব্দুল মজিদ। তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন ইংরেজী সংবাদ পাঠক ছিলেন। জনাব এনামুল হক বাংলাদেশ সংবাদ পাঠক সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। শুরু করেছিলেন ১৯৭৯ সালে খুলনা বেতারে বাংলা সংবাদ পাঠ দিয়ে। একরকম কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায়ই কয়েক বছর ধরে ইংরেজীতে সুইচ ওভার করেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ (অনার্স) এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) এল.এল.বি। সাংবাদিকতা ও বেতার সংবাদ পাঠক জনাব হক শুরু থেকেই করেছেন। ৯০ দশকের গোড়ার দিকে লন্ডনে থাকাকালীন সময় তিনি বিবিসি বাংলা বিভাগের সাথে কাজ করেছিলেন। সে সময় ফারাক্কা বাধের উপর তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ তার একটি প্রতিবেদন শ্রোতা নন্দিত হয়েছিল। সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৭৪ সালে তিনি লেখালেখি শুরু করেন।সংবর্ত সাহিত্য মাসিক প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্টতার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রকাশনা জগতে। সম্পাদনা করেন “নিরিবিলিঃ সাহিত্য মাসিক ও রংধনু সাহিত্য মাসিক। তিনি অত্যন্ত সদালাপী ও মিষ্টভাষী জনাব হক সকলের কাছে প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। প্রেস এবং ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া দু’জায়গায়ই জনাব এনামুল হকের ছিল সমান পদচারণা। প্রেমি ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। বাংলাদেশের সবুজ –শ্যামল, ছায়া ঘেরা ও মনোরম পরিবেশে বেড়াতে খুব পছন্দ করতেন। খুলনার সুন্দরবন, সিলেটের চা-বাগান, মাধবকুন্ড ঝর্ণা এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কয়েকবার ভ্রমন করেছেন। বান্দরবান পাহাড়ি এলাকায় সময় পেলেই ছুটে যেতেন পরিবার নিয়ে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতেন। সময় পেলেই চলে যেতেন বিদেশে ভারতের দিল্লি, আগ্রা তাহমহল,কাশ্মীর, চেন্নাই, দাজিলিঙ, রাজস্থানসহ দর্শনীয় জায়গায় বেড়িয়েছিলেন। ব্যাঙ্গালুরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। প্রকৃতিপ্রেমি সংবাদপাগল
একজন সফল সাংবাদিক যেখানে গিয়েছেন সেখানের পরিবেশ নিয়ে লিখেছেন। লন্ডনে সাংবাদিকতা করেছেন পাশাপাশি লন্ডনের রাণীর বাড়ি (বামিংহোম প্যালেস) সহ নানান মনোমুগ্ধকর স্থাপনা উপভোগ করেছেন। তবে বিদেশে বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশের টানে ছুটে এসেছেন।তিনি জন্মভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসতেন প্রাণের চেয়েও বেশি। বাংলাদেশের প্রতিটি মনোলোভা সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন। গ্রামেই কেটেছে তার শৈশবকাল, কিশোর তাইতো মাঝে মাঝে ছুটে যেতেন গ্রামে।
তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন এই কথা বাহুল্য। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ্পাক তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন-আমিন। —–চলবে।