মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
সিলেটে পানসী রেস্টুরেন্টে নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ করে প্রণোদনা হিসেবে ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন অভিযোগকারী পেশায় সাংবাদিক মোঃ আজিজুল ইসলাম। অভিযোগটির সত্যতার প্রেক্ষিতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর), সকালে পানসী রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদ।
সংশ্লিষ্ট বিবরণে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট ২০২২ ইং, সিলেটের পানসী রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর পণ্য নাম ছাড়া শুধু টাকা উল্লেখ করে বিল দেওয়া হয়। পন্য নাম উল্লেখ পূর্বক বিল ম্যামো দিতে বললে পুণরায় ম্যামো দেওয়া হয়। খাদ্য পরিবেশক নতুন মূল্য তালিকা হাতে দেয় এবং জানায়, একদিন আগে এই নতুন তালিকা প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেই মূল্য তালিকায় যেখানে লতা চিংড়ির দাম ৪০ টাকা নির্ধারিত সেখানে ৫০ টাকা এবং আলু ভর্তা যেখানে ১৫ টাকা সেখানে ৩০ টাকা ধরা হয়েছে। বিষয়টি দায়িত্বরত ম্যানেজারের নিকট অবগত করলে তাচ্ছিল্যের সাথে মানুষের জ্যাম ঝামেলা দেখিয়ে বিষয়টি কর্ণপাত করেননি।
তারপর বিষয়টি গত ২২ আগস্ট ই-মেইল এর মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট জেলা কার্যালয় অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন দৈনিক সকালবেলা’র মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আজিজুল ইসলাম।
প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ২২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষকে শুনানিতে অংশ গ্রহণের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয় ৷ উভয়পক্ষের অংশগ্রহণে শুনানি শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদ অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সার্বিক দিক বিবেচনায় পানসী রেস্টুরেন্ট, সিলেটকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর না হয় সেটা নিশ্চিত করেন। পরে আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেয়া হয়।
অভিযোগকারী সাংবাদিক মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, একজন সাধারণ ভোক্তা হিসেবে আমি আমার দায়িত্ববোধ পালন করেছি। অর্থপ্রাপ্তির জন্য নয়, ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও হয়রানির শিকার হলে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই অধিদপ্তরে অভিযোগে প্রতিকার মেলে সেটা নিশ্চিতে এই অভিযোগ। অভিযোগটি অধিদপ্তর আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এতেই আমি খুশি। সিলেটের প্রসিদ্ধ এতবড় প্রতিষ্ঠানকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সুন্দর, খরচ ও ঝামেলাহীন ভাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ ও প্রতিকারের এই আইন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।