নোয়াখালী থেকে আবদুল বাসেদঃ
নোয়াখালীর চাটখিলে বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে বর শাহাদাত হোসেনকে (২৮) এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় একই অপরাধে কনের বাবা মিজানুর রহমানকে (৪০) ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঘটনার পর স্থানীয় কাজি বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যান।
উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া এ দণ্ডাদেশ দেন।
জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের ১৪ বছরের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল একই গ্রামের শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। খবর জানতে পেরে পালিয়ে যান স্থানীয় কাজী। এ সময় আদালত বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং বর শাহাদাত হোসেনকে এক মাসের ও মেয়ের বাবা মিজানুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পাশাপাশি আদালত মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর ওই কিশোরীকে বিয়ে করবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ হচ্ছে এই তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কনের বাবা মেয়ের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করেন। তারপর ২০০৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে ৬ মাসের এবং বরকে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করি।
মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল ও এর আইনগত ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় রামনারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাহার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানসহ চাটখিল থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।