অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে উৎকণ্ঠা কিছুতেই কাটছে না। গতকাল সোমবারও সীমান্ত এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। আর আজ মঙ্গলবার উখিয়া সীমান্তেও গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আসিয়ানের বাইরের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সীমান্ত পরিস্থিতি ব্রিফ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসিয়ানের বাইরে রাষ্ট্রদূতদের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফ করছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম। এর আগে গত সোমবার তিনি আসিয়ানের রাষ্ট্রদূতদের সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মিয়ানমারের সামরিক কাউন্সিল দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিক এলাকায় সামরিক জেট এয়ারক্রাফট থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে।
বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও সংকট বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যে গত মাসজুড়ে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই হয়েছে। বিশেষ করে ২০ আগস্ট থেকে রাখাইনে পালেতওয়া টাউনশিপে সামরিক বাহিনী তীব্র লড়াই শুরু করে। উভয় পক্ষ ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। রাখাইন রাজ্য ও চিন রাজ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কের একটি সামরিক ও পুলিশ ঘাঁটিতে রসদ নেওয়ার পথ আরাকান আর্মি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২৬ আগস্ট মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ওই ঘাঁটি ছেড়ে যায়।
গত এক মাসে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি। ওই গোষ্ঠী অনেক স্থানে সামরিক চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরপর সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পাল্টা অভিযান চালিয়েছে। এসিএলইডির তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে গত মাসে সহিংসতা ৪৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন