সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
মোটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য দাবীকৃত যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা না পেয়ে স্ত্রী
রেহেনা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল আজিজকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে
মৃত্যুদ- কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে জনাকীর্ণ
আদালতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি
আযম এই আদেশ দেন। এসময় আসামী পলাতক ছিলেন। আব্দুল আজিজ সাতক্ষীরা শহরের
সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহরুল
হায়দার বাবু জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর পরে আসামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
রাস্ট্রপক্ষ এ আদেশে খুশি।
১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর শহরের সুলতানপুরের
বাড়িতে স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পিটিয়ে হত্যা করে
তার স্বামী আব্দুল আজিজসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী থানায়
মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় পরদিন আব্দুল আজিজ, তার ভাই রুহুল
কুদ্দুসসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি
মামলা দায়ের করেন আদালতে। মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিলে
ম্যাজিস্ট্রেট রাহাতুল ইসলাম তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে
প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছরের ৪নভেম্বর আসামী আব্দুল আজিজ ও তার ভাই
রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায়
অভিযোগ গঠণ করা হয় এবং মুক্তি দেওয়া হয় এই মামলার অপর ৩আসামীকে।
পরবর্তীতে আসামী রুহুল কুদ্দুস মারা যান ও আসামী আব্দুল আজিজ পলাতক
থাকেন।
মামলার নথি পর্যালোচনায় ১২ জন সাক্ষীর জেরা জবানবন্দি ও পর্যালোচনা শেষে
পলাতক আসামী আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এমজি আযম তাকে ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। একই আদেশে দন্ডপ্রাপ্ত
পলাতক আসামী আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তারের জন্য কপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট
প্রেরণের নির্দেশও দেন।