তানজিনা আফরিন:
প্রতিবছর জুলাই মাস এলে আমাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। আমার প্রাণপ্রিয় ছোট ভাই পাইলট আদনান মাকিদ রানা বিগত ২০০২ সালের ৩০শে জুলাই চট্রগ্রামের জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে এ-৫ বোমারু বিমান নিয়ে উড্ডয়নের ঠিক ৫ মিনিটের মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাঁশখালীর কাজীপাড়ার এক বসত বাড়ীতে বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট আদনান মাকিদ রানা অকালে প্রাণ হারায়।
তাঁর জন্ম শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বন্দটেকী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে । তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম মানিক। ১৯৯৮ সালে যশোর এয়ারফোর্স একাডেমী থেকে বিমান চালনার সফল প্রশিক্ষণ শেষে পাইলট হিসেবে কর্মজীবন শূরু করেন। মৃত্যুটাই সত্য। কবির ভাষায়-“জন্মিলে মরিতে হইবে, অমর কে কোথা রবে”। আজ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। শৈশব কালেই তার স্বপ্ন ছিল ফাইটার বিমানের চালক হবে। আকাশে বিমানের শব্দ শুনলেই সে দৌড়ে জানালা কিংবা বারান্দা দিয়ে বিমান দেখার চেষ্টা করত। মেধা, অধ্যবসায়, একাগ্রতা, যোগ্যতা আর সাহস ছিল বলেই সে তার কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছিলেন। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।