অনলাইন ডেস্ক:
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদার এক অনন্য সোপান। এক্ষেত্রে লিখিত আকারে পদ্মা সেতু নিয়ে দ্রুততম সময়ে ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটির প্রকাশ প্রশংসার দাবি রাখে। এতে ৬৫টি প্রবন্ধ রয়েছে যা বইটিকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ও চন্দ্রাবতী একাডেমি প্রকাশিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পিকার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি, অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, বিশ্বব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ উপেক্ষা করে, সকল প্রতিকূলতা ও বাঁধা-বিপত্তি জয় করে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন। তার অদম্য সাহস, দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বাঙালির আত্ম অহংকারের জায়গায় পদ্মা সেতু একটি মাইলফলক।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দেশে বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য এই সেতু অর্থনৈতিক লাইফলাইন। সাউথ এশিয়ান কানেক্টিভিটি, শিল্পায়ন, কৃষির অগ্রগতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই পদ্মা সেতুর অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সাধারণ মানুষ এ সেতুর দ্বারা সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে পদ্মা সেতু কেবল ইট-পাথরের সেতু নয়, কোটি কোটি বাঙালির আবেগ ও গৌরব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন