ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল কথিত প্রেমিক বিয়ে করতে অসম্মতি বলে, প্রেমিকের সাথে অভিমান করে মুন্নি আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী তীরের সাথে শাড়ি পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর ওই কিশোরীর লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে স্বাধীন (২১) এর সাথে অভিমান করে কেরি বিয়ের শাড়ি গলায় পেছিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মুন্নি আক্তার উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামের শহীদ মিয়া মেয়ে।
মুন্নির পরিবার জানান, মুন্নি পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাকাতির দুলাল মিয়ার ছেলে স্বাধীনের সাথে এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার মেয়ে চঞ্চল প্রকৃতি ছিল। ওই ছেলে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি করেন মুন্নিকে। গতকাল মুন্নির বাড়িতে এসে আটক হয়ে স্বাধীন। পরে মুন্নি বিয়ে করার কথা বলে স্বাধীন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বাধীনের পরিবারের কেউ এ বিয়ে করতে রাজী হয়নি। একারনে মুন্নি অভিমান করে এজন্য সবার অজান্তে ঘরের তীরের সাথে বিয়ের শাড়ি পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করেন।
এব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর নিহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।