অনলাইন ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও জাসদের সহসভাপতি আবু তাহেরের ৪৬তম হত্যাবার্ষিকী আজ। যুদ্ধাহত ও বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁকে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত এক রায়ে এই ফাঁসিকে ‘ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করেন।
কর্নেল তাহেরের হত্যাবার্ষিকীর দিনটিকে ‘তাহের দিবস’ হিসেবে পালন করবে জাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, কর্নেল তাহের সংসদ। ঢাকায় আলোচনাসভা, সেমিনার, শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি এবং নেত্রকোনার পূর্বধলায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালন হবে।
১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর আসামের বদরপুর স্টেশনে নানার বাসায় আবু তাহেরের জন্ম। তিনি ১৯৬০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও বেলুচ রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। আবু তাহের একজন চৌকস সেনা অফিসার ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি ‘মেরিন প্যারাশুট উইং’ পান ও উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকা যান। জর্জিয়ার ফোর্ট বেনিংয়ের রেঞ্জার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে ‘রেঞ্জার’ পদকে ভূষিত হন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পাকিস্তানে কর্মরত অবস্থায় নজরবন্দি হন আবু তাহের। সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক কামালপুর সম্মুখ সমরে আহত হয়ে একটি পা হারান। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের পদ পান। ১৯৭২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন