নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার দুপুরে নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পৌরসদরের হরিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের সহধর্মিনী বকুল আজাদ, ছেলে শাহাজাহান আজাদ, মেয়ে শাহিনুর আজাদ ও উম্মে সালমা সহ পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামে নাঙ্গলকোট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আজাদ মঞ্জিলে বসবাস করে আসছি। উক্ত বাড়ী নিমার্ণ করার সময় আমার মামা শ্বশুর উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের কনকৈইজ গ্রামের আবুল হাশেমের কাছ থেকে চলাচলের রাস্তার জন্য আড়াই শতক জমি ক্রয় করি। ওই সমেয়ে আবুল হাসেম প্রবাসে থাকার কারণে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তিনি আমার ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা সহ নানা ভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন সুমনের কাছে সমাধানের জন্য দারস্থ হই। তিনি আমাকে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন বিষয়টি সামাধান না করে, উল্টো আমার মামা শ্বশুরের কাছ থেকে পূর্বে আমার ক্রয়কৃত জমিটি নিজ নামে কবলা করে আমাদেরকে জিম্মি করার চেষ্টা করে।
সর্বশেষ রবিবার ভোর রাতে কাউন্সিলর সুমন তার সন্ত্রাসী বাহিনীর শতাধিক সদস্য নিয়ে আমার বাড়ীর গেইট, সীমানা প্রাচীর ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ভাংচুর চালায়। এ সময় আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ তে কল করলে তারা আমাদেরকে লাইনে রেখেই নাঙ্গলকোট থানার সাথে আমাদেরকে সংযুক্ত করিয়ে দেয়। কিন্তু কাউন্সিলর সুমন প্রভাবশালী হওয়ায় রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ সময়েও নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।