নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্নাদরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে সরকারি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমধুম ইউনিয়নের টিভি রিলে কেন্দ্র সংলগ্ন আলুর মাঠ নামক স্থানে বিশাল পাহাড় কেটে বালি ও মাটি বিক্রি চলছে এক বছর ধরে।
পাহাড় কাটাস্থলে সমান জায়গায় পাকা দালান নির্মাণ করে গড়ে তোলা হয়েছে জলসাঘর! সেখানে গভীর রাতে বসে জুয়ার আসর। উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়কের দশ গজের মধ্যে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও প্রশাসনের রয়েছে নিরব ভূমিকা।
জায়গাটি সরকারি হলেও দক্ষিণ ঘুমধুম নয়াপাড়া এলাকার মৃত মোঃ আলী আহমদের ছেলে মোঃ আলম(৬০) ও মোঃ আলমের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম রুবেল(৩০) দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে সেখানে গড়ে তুলেছে অবৈধ পাকা স্থাপনা। প্রতিরাতে সেখানে বসে জলসা আসর। মোঃ আলমের সাথে রোহিঙ্গা আল-ইয়াকিনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে চিহ্নিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে এটি রোহিঙ্গাদের আতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত।
পাহাড় কাটার ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে মোঃ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে কোন পত্রিকায় নিউজ আসলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ চৌধুরীর সাথে অবৈধ পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘুমধুমে কেউ পাহাড় কাটলে কিংবা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হউক।