Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আখাউড়ার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সীমান্তবর্তী ১০ টি গ্রাম প্লাবিত

আখাউড়ার হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সীমান্তবর্তী ১০ টি গ্রাম প্লাবিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:
ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওড়া বাঁধ ভেঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দুইটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে টান বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত, ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পাশাপাশি লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদী এবং স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খালটি দিয়ে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু-হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামত করতে না পারলে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের প্রায় ৯০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি কয়েকটি পরিবার স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে আজ সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ও ইউপি চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন।
আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী জানান, আজ শনিবার ভোরে সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।
তিনি বলেন, পানির প্রবল তোড়ে বাঁধ সংলগ্ন সড়কও ভেসে গেছে। পার্শ্ববর্তী মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামসহ মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোতে থাকা অনেক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ইউএনও অংগ্যজাই মারমা বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তারা সেটি খতিয়ে দেখছেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শহগীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply