নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভা নাওগোদা গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে অটোরিক্সা চালক মনির হোসেনকে (৪৫) শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে পার্শ্ববতী চৌগুরী গ্রামের হোসেন আলী ছেলে শরীফ আহম্মেদ। নাওগোদা গ্রামের মফিজের দোকানের সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনির ও ঘাতক শরীফ একে অপরের বন্ধু বলে জানান নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান। হত্যাকারী শরীফকে স্থানীয়রা আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার নাওগোদা গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ও চৌগুরী গ্রামের শরীফ এক সাথে দীর্ঘদিন চলাফেরা করতো। প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের বাড়ীতে যাওয়া আসা ছিল। নিহত মনিরের মুক্তার হোসেন নামে এক ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী। গত শুক্রবার বিকেলে শরীফের সাথে প্রতিবন্ধী মুক্তার হোসেনের বাকবিতন্ডা হলে শরীফ ওই প্রতিবন্ধীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী মুক্তার হোসেনের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে। মুক্তারকে কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এ বিষয়ে শরীফকে শনিবার বিকেলে নাওগোদা গ্রামের মফিজের দোকানের সামনে মনির জিঞ্জাসাবাদ করলে এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ মনিরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এ ঘটনা জানতে পেরে মনিরের ছেলে মেহেদি হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে শরীফ। এছাড়াও শরীফের কাছে মনির ৫২ হাজার টাকা পাওনা থাকায় তাদের দু’জনের মাঝে গত কয়েক দিন যাবৎ মনমালন্য চলছে বলেও জানান নিহতের মা। ছুরিকাঘাতে আহত মনির ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ নিহতের চুরুতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক সুমিত চৌধুরী বলেন, নিহতের শরীরে কয়েকটি ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।