কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের না কাটা পাহাড়ী ঝিরি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়- ৩০ মে সোমবার বিকাল ৫ টায় মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা না কাটা নামক পাহাড়ী ঝিরি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরের নাম শিপ্লব কান্তি দে (১৬) তিনি ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন এর ঠাকুরতলা এলাকার জীবন হরি দে এর পুত্র বলে জানা গেছে। সে পেশায় মোবাইল টেকনিশিয়ান, কে বা কারা, কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই পিপিএম।
তিনি বলেন- বিকালে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা না কাটা নামক পাহাড়ী ঝিরিতে ১টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন পান চাষী থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাত-পা বাধা অবস্থায় এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহতের গলায় রশি জাতীয় জিনিসের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সে ফুল হাতা শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিল। কারা কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
নিহতের বাবা জীবন হরি দে বলেন-
রোববার সকালে তার এক অসুস্থ মেয়েকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শিপ্লব কান্তি দে সহ তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেছিলেন।
এক পর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে কেউ একজন শিপ্লব’কে মোবাইল ফোনে কল দেন। এসময় সে (শিপ্লব) একটু পরে আসার কথা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন। এরপর রাতে আর হাসপাতালে ও বাড়িতে ফিরেনি। ৩০ মে সোমবার দুপুর পর্যন্ত আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান নিহতের বাবা। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই পিপিএম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।