নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের স্বজনরা জানান, কুমিল্লা থেকে বাঙ্গড্ডা হয়ে হাসানপুর সড়কে চলাচলের জন্য একমাত্র বাস শাহ আলী সুপার। শাহ আলী সুপার নামের অধিকাংশ গাড়ী সড়কে চলাচলে অনুপযোগী। এ সড়কের বাস চালকদের অধিকাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তাছাড়া গাড়ী গুলো কুমিল্লা থেকে বাঙ্গড্ডা আসলেই চালকরা নেমে যান, বাঙ্গড্ডা থেকে হাসানপুর ও আবার ফেরার পথে সড়কের এ অংশে গাড়ী চালান হেলপাররা। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। শনিবার সকালে হাসনাপুর থেকে কুমিল্লাগামী ঢাকা মেট্রো-জ ১৪-১১৭৩ গাড়ীটির চালকের সিটে হেলপার বসেই যাত্রা শুরু করেন। এসময় মৌকারা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহর মালিকানাধীন স্থানীয় গোরকমুড়া গ্রামের একটি মৎস প্রজেক্টের খুচরা পাইকারদের কাছে মাছ বিক্রি করে রায়কোট গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী হারেছ মিয়া বাড়ী ফিরার পথে মৌকরা গ্রাম থেকে ওই বাসে উঠেন। বাসটি বিরুলী গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে এসে অপরিকল্পিত মাছ চাষের কারণে ভেঙ্গে পড়া পাড়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে পড়ে যায়। এসময় বাসের হেলপার দাবী করেন বাসে তিনি সহ ৪জন যাত্রী ছিলেন, সবাই বাস থেকে বের হতে স্বক্ষম হয়েছে। মৃত্যু হওয়া যাত্রী হারেছ মিয়ার স্বজনরা তার নাম্বারে ফোন করে তাকে না পেয়ে খোঁজনিয়ে জানতে পারে হারেছ ওই বাসে উঠেছে। কেরান দিয়ে বাসটি উঠাতে টান দিলে বাসের নিচে ব্যবসায়ী হারেছের লাশ দেখা যায়। পরে স্থানীরা লাশ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদারের বাড়ীতে রাখে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জিয়াউল হক জিতু, সাইফুল ইসলাম ও সমাজ সেবক নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, এ সড়কের অধিকাংশ চালক ও হেলপার মাদকাশক্ত। তাছাড়া কয়েক জন ব্যতিত কারো নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। আমরা চাই বিষয়টি প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে সুরাহা করুক। যদি এ ব্যাপারে প্রশাসন কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে এ দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে আছে।