সিলেট সংবাদদাতাঃ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা শাহজালাল উপশহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপশহর রউজভিউ পয়েন্ট থেকে এবিসি পয়েন্ট পর্যন্ত মেইন রোডে পানি। এ-ব্লক, বি-ব্লক, সি-ব্লক, ডি-ব্লক ও ই-ব্লকের কিছু এলাকা সহ উপশহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়াও সোবহানিঘাট, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায়ও পানি ঢুকে পড়েছে।
স্কুল খোলা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। উপশহর এলাকায় অনেকে বাচ্চাদেরকে কোলে করে পানি পারাপার হতে দেখা গেছে।
উপশহর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ তালিমুল ইসলাম জুনু বলেন, স্কুল খোলা এবং পরীক্ষা চলছে বিদায় আমার বোনকে কোলে নিয়ে অনেক কষ্ট করে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছি।
উপশহরের আরেক বাসিন্দা আফছান উদ্দিন সামি জানান, আমাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। আমরা খুবই কষ্টে আছি তারপরও স্কুল খোলা থাকায় আমার ভাইকে কোলে করে পানি পার হয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছি। তিনির প্রশ্ন করে বলেন, বন্যার পানিতে মানুষ আজ গৃহবন্দি তালে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন?
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরীর সাথে আলাপকালে জানা যায় সিলেটে কাল বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম ছিল। রাত থেকে আবার প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, একারণে ঢল নামছে। ফলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুরমার পানি উপচে সোমবার সকাল থেকে সিলেট নগরেও পানি ঢুকছে। এপর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটের তিন নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জকিগনঞ্জ, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।