অনলাইন ডেস্ক:
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেষ কর্মদিবস। এদিন সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কর্মচাঞ্চল্য প্রায় স্বাভাবিক ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ অন্য মন্ত্রণালয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে রাজপথ ছিল অনেকটা যানজটমুক্ত।
আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা ছয় দিনের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে রাজধানী কতটা ফাঁকা হচ্ছে, সে সম্পর্কে আজই ধারণা পাওয়া যাবে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আজ ২৯ এবং আগামীকাল ৩০ এপ্রিল সপ্তাহিক ছুটি। এরপর ১ মে হচ্ছে মে দিবসের ছুটি। ৩ মে ঈদের দিন ধরে ২, ৩ ও ৪ মে ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই হিসাবে আগামী ৫ মে বৃহস্পতিবার অফিস করতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
তবে ৫ মে কেউ ছুটি নিলে তিনি টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়ে যাবেন। সে কারণে ৫ মে ছুটি ঘোষণা করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে আজ থেকে ঈদ যাত্রা পূর্ণোদ্যমে শুরু হবে—এমন সম্ভাবনা থেকে গতকালই অনেকে রাজধানী ছেড়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আগেই গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ঝক্কি এড়াতে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের আগেই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গতবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। সে কারণে এবার পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। ’
এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত বছর ঈদে মোবাইল গ্রাহকদের মধ্যে কতজন ঢাকা ছাড়ছে সে সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেটা করবেন না বলে জানিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবার ওই তথ্য প্রকাশ করেছিলাম। এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ওই ধরনের তথ্য প্রকাশ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। ’
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন