অনলাইন ডেস্ক:
চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য অনুমোদিত দেশওয়ারি কোটায় চতুর্থ শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ২০২২ সালে বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে হজযাত্রীদের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জেদ্দাভিত্তিক সৌদি দৈনিক ওকাজ ও সৌদি গেজেট শুক্রবার এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সৌদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত হজযাত্রীর সংখ্যা বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত সংখ্যার কাছাকাছি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি সরকারের সঙ্গে এখনো চুক্তি না হলেও সরকার হজ কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য হজ গাইড প্যানেল তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান গতকাল শনিবার রাতে বলেন ‘হজের বিষয়ে এখনো সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়নি। চুক্তি না হওয়ায় কার্যক্রম পুরোদমে এগোনো যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই চুক্তি হয়ে যাবে বলে আশা করছি। ’
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার হজের চুক্তিটি হবে। এ কারণে আগেভাগেই কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব হজ এজেন্সি ২০২২ সালে হজযাত্রী পাঠাতে ইচ্ছুক, তাদের আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
গত ১৭ এপ্রিল আরেক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, হজ গাইড প্যানেল তৈরির লক্ষ্যে সরকার জেলা হজ গাইড তৈরি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক, সদস্যসচিব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক বা উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা। সদস্য রয়েছেন জেলা ইমাম
সমিতির সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল গত ১৩ এপ্রিল বলেছিলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন। সৌদি গণমাধ্যমে এ সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদি গেজেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় হজযাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ইন্দোনেশিয়ার জন্য এক লাখ ৫১ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করেছে। দ্বিতীয় শীর্ষে আছে পাকিস্তান (৮১ হাজার ১৩২ জন)। তৃতীয় শীর্ষ স্থানে থাকা ভারত ৭৯ হাজার ২৩৭ জন হজযাত্রীর পাঠাতে পারবে। আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা সবচেয়ে কম (২৩ জন) হজযাত্রী নিয়ে তালিকার সবার নিচে আছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় আগেই বলেছিল, কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ১০ লাখ হজযাত্রীকে হজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই থাকবেন বিদেশি।
এবারের হজে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এবার ৬৫ বছরের বেশি কাউকে হজযাত্রী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। এ ছাড়া হজযাত্রীদের কভিড-১৯ প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা নিতে হবে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন