অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নাহিদ হাসান (২৩) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ সংবাদকর্মী, অর্ধশত শিক্ষার্থীসহ শতাধিক ব্যক্তি।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের ভেতরে ‘ওয়েলকাম’ ও ‘ক্যাপিটাল’ নামের দুটি ফাস্টফুডের দোকানের মালিক আপন দুই চাচাতো ভাই।
ইফতারের সময় মার্কেটের ভেতরে হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে ইফতারি বিক্রি করেন এই দুই দোকানি।
মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় টেবিল পাতা নিয়ে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র হাতে বাপ্পীর সমর্থক ১০-১২ তরুণ সেখানে আসে। এ সময় কাওসারের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বাপ্পীর সমর্থকরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে কাউসারের দোকানে হামলা চালায়। এর পরই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওয়েলকাম ফাস্টফুডের মালিক ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের মালিক শহিদুল ইসলাম সরদারও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। নিউ মার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলী বলেন, ‘দোকানের কর্মচারীদের এক পক্ষের হয়ে ঢাকা কলেজের ছেলেরা এসেছিল। এরপর এই ঝামেলা শুরু। অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তদন্ত চলছে। ’
সিসিটিভি ফুটেজে যা পায় পুলিশ
একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের সঙ্গে মিল পেয়েছে। পুলিশ জানায়, মূল ঘটনা ধরা পড়ে রাত ১১টা ৩ মিনিটে। রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল মার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢুকে। সেখানে দোকানের বাইরে হট্টগোল হয়। কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে ওই তরুণরা পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী কিছু তরুণ ৪ নম্বর গেট ভাঙতে থাকেন। রাত ১২টার দিকে তারা ২ নম্বর গেট খুলে মার্কেটে ঢুকে ভাঙচুর করে বেরিয়ে যান। তখন ব্যবসায়ীসহ হকাররা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন