ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ৩৫০ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আধপাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) ভোর রাতে নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভলাকুট ইউনিয়নে। সেখানে ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ, খাগালিয়া গ্রামে ৬৫টি ঘর, বাঘী ও কুটুই ২০টি ঘর, বালিখোলায় ৫০টি ঘর, মাদ্রাসা দুটি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি। ভলাকুট বাজারে ২০টি দোকান এবং ওই গ্রামে ৭০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সদরে ধরকুড়া গ্রামে ১০টি ঘর, কুন্ডা ইউনিয়নে একটি কিন্ডারগার্ডেনসহ ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বুড়িশ্ববর ইউনিয়নে ৫টি ঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের নাজিরাবাড়ি, হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা, চান্দুরা ইউনিয়নের রামপুরা, ভাটি কালিসীমা, বেকিনগর, রসুলপুর, বুধন্তী, পেটুয়াজুড়ি, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন’সহ উপজেলার প্রায় শতাধিক ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় ১০০ হেক্টর ধান ও ৫০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেকের দাবি, শিলাবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতি হয়েছে যার পরিমান ১৫০ হেক্টর জমি। বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় ধানের ক্ষতি হয়েছে ১০০ হেক্টর ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ হেক্টর।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদি হাসান খান শাওন জানান, নাসিরনগর উপজেলায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ২৫০ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আড়াই হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতি হয়েছে। পূর্বভাগ ইউনিয়নে প্রায় ৬শ হেক্টর ফসলি জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও কয়েকটি সরকারি বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ হোস্টেল ও মসজিদ-মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা তাদের তালিকা করছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে বলেও ইউএনও জানান।