নোয়াখালী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সুরে কথা বললেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একরামুল করিম চৌধুরী।
জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এএইচএম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিমকে উদ্দেশ করে একরামুল চৌধুরী বলেন, নোয়াখালীর নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। এমন অবস্থা হবে সুবর্ণচর তো দূরের কথা নোয়াখালীতেও থাকতে পারবেন না। কাদের মির্জা যে বলে ‘দজ্জা টোয়াই হাইতো ন (দরজা খুঁজে পাবে না)’ সে অবস্থা হবে আপনার।
সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নম্বর চরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, সেলিম ভাই (আহ্বায়ক) আপনারা আমাকে বহিষ্কার করতে চান। সেই জন্য মানুষ আপনাদের তিরস্কার করতেছে। সেলিম ভাইরে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাইসি, তিনি এখন আমারে বলেন আমি নাকি রোহিঙ্গা। আমি যদি রোহিঙ্গা হই তাহলে পুরো সুবর্ণচরবাসী রোহিঙ্গা।
তিনি আরও বলেন, চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে নৌকা বিক্রি করেছেন। নৌকাকে জেতাতে অনেক অনেক চেষ্টা করেছেন। কোনো চেষ্টা সফল হয়নি। আমি ওসিকে বলেছি ভোট যদি ডাকাতি করেন, তাহলে আমি আপনাকে (ওসি) ডাকাতি করুম। ওসি খুব ভালো মানুষ। মানুষের মন যাকে চায় তাকে যেন ভোট দেয়, ওসি ও প্রশাসন সেই কাজ করেছে।
এ সময় চরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ খসরুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত উক্তি ছিল, ‘দজ্জা টোয়াই হাইতো ন, দজ্জা’ (দরজা খুঁজে পাবেন না, দরজা)। এই উক্তি করে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সত্যবচনের নামে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে আসছেন। কাদের মির্জা একরামুল করিম চৌধুরীকে অপরাজনীতির হোতা উল্লেখ করে নানা অনিয়মের কথা প্রকাশ করেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় শিহাব উদ্দিন ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খানকে।