বরগুনা প্রতিনিধি:
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক বরগুনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে (৫ মার্চ) শনিবার বেলা ১১ টায় বরগুনা জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা পরিষদ হল রুমে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ.রশিদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন মো.ফজলুল হক, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.মোতালেব মৃধা, পৌর মেয়র কামরুল
আহসান মহারাজ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.মতিউর রহমান, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. শাহজাহান।
আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবাহান, কে এম আ.রশিদ, আ. হাকিম, জেলা পরিষদ
সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদ সংরক্ষি সদস্যা মোসা.ফৌজিয়া খানম প্রমূখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের
সৈনিক, ১৯৬৯ সালে আমরা ছাত্র ছিলাম। তখন থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলাম । তিনি আরো বলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করব। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতা করেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা.ফজলুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখেনি। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৪৭ সালে দেশটি পাকিস্তানের হাতে চলে যায়। তখন থেকেই আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন নেমে আসে। তিনি আরো বলেন,
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ.রশিদ বলেন,বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ইতিহাস। তিনি আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করেনা তারা জারজ সন্তান। অনেক জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। ছয় দফা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা। ৭-ই মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা নৌকায় আছি, প্রধানমন্ত্রীর সাথে নৌকায় থাকব।
এ সময় জেলার ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্যসহ অফিস সহকারি হারুন আর রশিদ, সাঁটলিপিকার মো. সাইফুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক সোলায়মান ,এনামুলসহজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন সরকারি বালিকা বিদ্যাললয়ের শিক্ষক মো.গনি মিয়া, গীতা পাঠ করেন সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী দীপা ভান্ডারী , সভা সঞ্চালনায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু সুখ রঞ্জন শীল।