সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট করে জুতা পায়ে দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের ঘটনা ঘটেছে। ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে জেলার শহীদ আব্দুর রাজ্জার পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
মাইক থেকে বারবার জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠতে নিষেধ করা হলেও
তা তয়ক্কা না করে নিয়মনীতি ভেঙে হুড়োহুড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং সেলফির তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকতারা ও জাতীয় শ্রমিকলীগের সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে একজনকে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে ফুল নিয়ে উঠতে দেখা যায়
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,( ২১ ফেব্রুয়ারী) সোমবার প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাতে গোনা কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া শেষ হলেই শুরু হয়ে যায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার প্রবণতা।
এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার সচেতন মহল।
এ সময় সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ অফিসের এস.এ.এস সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুস সোবহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা জুতা নিয়েই শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এ দিকে জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরার ব্যানারে কয়েক জনকে ও জুতা পায়ে দিয়ে বেদিতে উঠতে দেখা যায়। পরে শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে উঠার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন তারা।
এ ঘটনায় জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের এস.এ.এস সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুস সোবহান দু:খ প্রকাশ করে বলেন, প্রচন্ড ভীড় থাকার কারনে তাড়াহুড়ো করে জুতা পায়ে উঠে পড়েছিলাম। এটি করা আমাদের ঠিক হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন বলেন, মহান ভাষা দিবস আমরা হৃদয়ে ধারন করি।
আমার বার বার ঘোষনা মঞ্চ ঘোষনা করেছি কেউ যেন ভুলেও জুতা পায়ে বেদীতে উঠবেন না। দুঃখ জনক ঘটনা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা এ ধরনের কাজ করবে এটি মেনে নেওয়া যায় না।