অনলাইন ডেস্ক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর, বিল, হাওরসহ দেশের প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই করবে না, বাংলাদেশ চতুর্থ-পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি দেশে স্থাপিত শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত ডিজিটাল অবকাঠামোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিটি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ-ই-আলম বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া দুজন নবীন শিক্ষার্থী তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সোনার টুকরা, হীরার টুকরা আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি। এই অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের জীবনযাপন ও শিক্ষাব্যবস্থা বদলে যাবে। ‘ ডিজিটাল অবকাঠামো তাঁদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রনায়ক মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সবার আগে বাংলাদেশ নামের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত, ২০১৫ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউর সদস্য পদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে বীজটি বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তা চারা গাছে রূপান্তর করেন। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের রত্ন আখ্যায়িত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। ‘
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লব যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নতুনদের সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে তারা বিস্ময়করভাবে সফল হবে।
সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে নতুন প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার উপযুক্ত করে শিক্ষার্থীদের তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ড. শাহজাহান মাহমুদ নতুন প্রজন্মকে আগামীদিনের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন