অনলাইন ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, মানসম্মত শিক্ষার বড় একটি ধাপ হচ্ছে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। আমরা এবার সরকারি-বেসরকারি স্কুলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছামতো শিক্ষক নিয়োগ দিত। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি।
আজ সোমবার দুপুরে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া ৩৬ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সৎপরামর্শ প্রয়োজন। সে কারণেও তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আজ যারা নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাবেন। কর্মজীবনে সফল হতে হলে একদম প্রথম থেকেই যত ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব, তা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি আপনার কাজ আরো দক্ষতার সঙ্গে করতে সহায়তা করে। কাজেই প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তিকে ভয় পাবেন না, আপন করে নিন, কাজের হাতিয়ার বানান।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তাই আমরা ভেরিফিকেশন চলমান থাকা অবস্থায় নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ কিছু থাকলে তাকে বাদ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থনীতিতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদান ব্যহত হয়েছে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ যেসব শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছেন এই যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ন্যূনতম মান নির্ধারিত হবে বলে আমি মনে করি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বক্কর সিদ্দীক, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান।