চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যরাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে আনুমানিক ১২ টার নাগাদে ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ ’বিজয়’ ও ‘সিএফসি’ গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষ রাত ১টা পর্যন্ত চলে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থিরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে বিজয়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছিলেন। আর সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলে। দুই উপপক্ষের কাছেই রামদা ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত প্রায় ১ টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বিজয়ের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাত ১২ টার দিকে বিনা উসকানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাঁদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। পরে তাঁরা প্রতিহত করেছেন। অন্যদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কয়েক দিন ধরে হুমকি ধমকি, উস্কানি দিয়ে আসছিল। আজকে তাদের জবাব দিয়েছে তারা।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে গেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে তাঁদের মূল ফটকে আটকে দেন নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৮ জন বিজয় গ্রুপ ও ৪ জন সিএফসি গ্রুপের সমর্থক। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র চিকিৎসা দেয়ার পর দায়ের কোপে গুরুত্বর ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝামেলা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি সজাগ রয়েছে। পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে