নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নূরপুর গ্রামের সফিকুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি চারিজানিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। প্রথম স্ত্রীর সংসারে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ২ মেয়ে, তাদেরকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছে। সফিকুর রহমান সুস্থ অবস্থায় দু’ পরিবারের সন্তানদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। সফিকুর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করেন। রবিবার রাতে ছেলে মোজাম্মেল হক ও মোবারক হোসেন বাবার জন্য খাবার এনেছে বলে সৎ মাকে দরজা খুলতে বলেন। সৎ মা ফাতেমা বেগম দরজা খুলে দিলে দু’ সৎ ছেলে ও মোজ্জামেলের স্ত্রী মিলে তাকে টেনে হেঁছড়ে ঘর থেকে বের করে বাগানে নিয়ে সবাই মিলে জবাই করার চেষ্টা করে। এসময় ফাতেমা বেগম শোর চিৎকার করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে মৃত ভেবে পেলে রেখে যায়।
আহত ফাতেমা বেগমের ভাই কামাল উদ্দিন বলেন, আমার বোন ও তার দু’ মেয়েকে আমার ভগ্নিপতি বসত ঘর সহ ৬ শতক সম্পত্তি লিখে দেয়। এ ক্ষোভে আমার বোনের প্রবাসী সৎ ছেলে শহিদ উল্লাহ ও সৎ মেয়ে ছালেহা বেগমের নির্দেশে তার সৎ ছেলে মোজ্জাম্মেল, মোবারক ও মোজাম্মেলের স্ত্রী জোরপূর্বক ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমার বোনের অবস্থা আশংকাজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।