জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পাগলা কুকুরের আতংক বিরাজ করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পথচারীদের বিনা উসকানিতে কামড়াচ্ছে পাগলা কুকুর। রেহাই পাচ্ছে না শিশু থেকে বৃদ্ধরাও।
বুধবার (১২ জানুয়ারী) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীর চাপে জরুরি বিভাগ ও জলাতঙ্ক টিকা বিভাগ বেসামাল অবস্থা বিরাজ করছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন মজুদ আছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কাউসার (৪০), ফজলু (৬০), জিন্নাহসহ (২৬) বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে বাজারে যাওয়ার সময় এবং জেলা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে পথযাত্রীদের ও দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পাগলা কুকুরটি।
এছাড়াও বাসস্ট্যান্ড এলাকার সরকার পাড়া, কাজীপাড়া, বনিকপাড়া, টি.এ.রোড, কালীবাড়ি মোড়, শিমরাইলকান্দি, কান্দিপাড়া, মৌড়াইল, পুনিয়াউট ও নয়নপুরে দেড় শতাধিক শিশু-বৃদ্ধ ও নারী-পুরুষের ওপর পাগলা কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুর কামড়ের আতংক বিরাজ করছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, আজকে সকাল থেকে শতাধিক রোগী পাগলা কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে একজন রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল বাকিরা ভ্যাকসিন নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমান ভ্যাকসিন সরবরাহ আসায় আক্রান্তদের সেবা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, কুকুর নিধনে আইনগত বিধিনিষেধ আছে, জলাতঙ্ক কুকুর সনাক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। আহতরা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে কুকুর কামড়ের জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ ও আলোচনা করবো।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কুকুর কামড়ে আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরে উত্তেজিত জনতা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরেছে। সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুর কামড়ানোর বিষয় নিয়ে আতংক বিরাজ করলেও এখন সব কিছু স্বাভাবিক আছে।